রবিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১০

কে বেশি পাওরফুল??

India'র দুই পাশে দুইটা দ্যাশ। একটা আমাগো বাংলাদেশ আর আরেকটা ফাকিস্তান। একসময় অবশ্য একলগেই ছিল।

বাংলাদেশের জাতীয় প্রাণী রয়েল বেঙ্গল টাইগার। বিশ্বের সেরা বাঘ। আর ফাকিগো জাতীয় প্রানী মার্খোর। এইডা এক প্রকারের হিমালয়ান বন্য রাম ছাগল। যে কেউ চোখ বন্ধ করে বইলা দিতে পারবো যে ক্যাডায় বেশি powerful। কিন্তু একদিন এই রামছাগুরাই বাঘের পিঠে ছড়ি ঘুড়াইতে চাইলো। বাঘের ছোট বাচ্চা দেইখা তারা ভাবলো বিলাই। সেই বাচ্চা বাঘটা যেই না বড় হইল রামছাগুদের ঘাড় দিলো মটকাইয়া। অবশ্য দ্যাশ থাইকা ছাগু তাড়াইতে প্রতিবেশী বাঘেও হেল্প করছে। বাঘটা তখন মাত্র থাবা মারতে শিখছে, আইজ কিন্তু পরিণত।

দুক্ষের ব্যাপার রামছাগুরা পালানোর সময় তাগো এইদেশী সংস্করণ রাইখা গেছে। কালা ছাগল। দেশীয় কাঁঠাল পাতা খাইয়া তারা সংখ্যায় বাইড়া গেল। এই দ্যাশে থাকা রামছাগুগো কিছু এজেন্টরা সাহায্য করছে। আমাগো এক সরকার তাগোরে এত্ত ভালোবাসতো যে কারণে অকারণে মাইনষেরে কালা ছাগল দিয়া বেড়াইছে।

আইজ এইসব কালা ছাগল এত্ত বাড়ছে যে বিভিন্ন ব্লগেও ল্যাদাইতেছে। চড়-থাবড়েও তাগো লজ্জা হয়না। মগবাজারের পেমেন্টে সদা দিল-খুশ।

কিন্তু আইজ বাঘ আবার জাইগা উঠতাছে। প্রত্যেকদিনই কিছু না কিছু কালা ছাগল খোঁয়াড়ে ঢুকানো হইতেছে। ভালা দিন বুইঝা সবগুলারে জবাই দেওন হইবে।

আপনারা চাইলে ছবি দেইখাও কইতে পারেন ক্যাডায় বেশি শক্তিশালী।



আমাগো টাইগার



ফাকিগো মার্খোর রামছাগল



রামছাগুগো ফালায় যাওয়া কালা ছাগল

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‌‌‌‌‌‍‍

শনিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১০

জয়... আপোষহীন নেত্রীর জয়...

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হবার পর তার বিধবা পত্নী বিএনপির হাল ধরেন।নানা ষড়যন্ত্র থেকে দলকে রক্ষা করেছেন, একসময় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনও করেছেন।এইসব কারণে দেশবাসীর নিকট তিনি আপোষহীন নেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

এই ইমেজ নিয়েই একে একে হয়েছেন দেশের ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী ২ বারের বিরোধীদলীয় নেত্রী।

এদিকে তার দুই ছেলে সময়ের সাথে হয়েছেন দেশের রাজপুত্র।সত্য না মিথ্যা তা জানি না তবে লোকে বলে প্রেসিডেন্ট সাহেব কিছু রেখে যেতে পারেন নি। আমাদের দিয়ে গেছেন আপোষহীন এক নেত্রী, দুই এতিম পুত্র আর তার ভাঙ্গা স্যুটকেস।সময়ের সাথে সাথে সেই ভাঙ্গা স্যুটকেস অনেক হীরের ডিম দিয়েছে। বাজারে সেই ডিম বেঁচে দুই এতিমপুত্র তারেক আর আরাফাত হয়েছেন রাজপুত্র।

আপোষহীন নেত্রী কখনোই আপোষ করেননি।বিগত সামরিধায়ক(সামরিক+তত্ত্বাবধায়ক) সরকারের মাইনাস টু ফর্মূলা সহ দলীয় ও বাহ্যিক নানাবিধ ষড়যন্ত্রের মুখে মাথা না নোয়ালেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি।দুই রাজপুত্রের কল্যাণে অতিষ্ঠ জনগণের ভোট বিপ্লবের তোড়ে কিংবা সামরিধায়ক সরকারের কূটকৌশলে সংসদে পেয়েছেন মাত্র এক-দশমাংশের মত আসন।

লীগের বাকশালী সরকার এসেই তাদের উপর এতদিনের জমা থাকা ক্ষোভ একে একে উশুল করতে থাকলো।অথচ আপোষহীন নেত্রীর সেদিকে খেয়াল নেই।তিনি ব্যস্ত ছিলেন সুপুত্রদের জামিন নিশ্চিতের ব্যাপারে।সরকার সাফল্যের সাথে বিরোধীদলকে ব্যস্ত রাখছে।আর তারা সেই ফাঁদেই হাবুডুবু খাচ্ছে।

দেশের জনগণ বাকশালীদের কিছু কাজে যেমন খুশি, তেমনি অখুশি নানা সমস্যায় জর্জড়িত হয়ে।কিছুতেই যেন বিদ্যুৎ-পানি সমস্যার সমাধান মিলছে না।বিচার হচ্ছে না সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার।নেত্রী এই ব্যাপারে বলার মতন কিছুই খুঁজে পান না।অথচ দেশবাসী রাজাকারদের যে বিচারের জন্য অধীর আগ্রহে তিনি সেই বিচারের বিপক্ষে গিয়ে রাজাকারদের গোলাপি আঁচলের নিচে ঠাঁই দিতে চাইলেন। আর ট্রানজিটসহ নানাবিধ সমস্যায় দেশবাসীকে কিছুই শোনাতে পারলেন না।

আপোষহীন নেত্রী সত্যিই আপোষহীন।দেশবাসীর দরকারে আপোষ করতে পারলেও দুই ছেলের জামিন, ১ টাকার বাড়ি আর রাজাকার বাঁচাতে সত্যিই আপোষহীন।তার নামের সুনাম আজ তিনি সাফল্যের সাথেই ধরে রেখেছেন।

আগামীকাল বাড়ি বাঁচাতে সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকা হয়েছে।এর মাঝেই শুরু হয়ে গেছে হানাহানি।রাজধানীর পাঁচ জায়গায় বাসে আগুন দিয়ে জনগণের ক্ষতি করে বাড়ি রক্ষা করতে চাইছেন। সত্যি এই আপোষহীন চরিত্র। এসব ক্ষণপ্রভা চরিত্র যুগে যুগে খুব কমই আসে।জাতি দেখে রাখুন, প্রাণভরে দেখে রাখুন।জয় আপোষহীন নেত্রীর জয়।থুক্কু আপোষহীন নেত্রী জিন্দাবাদ।