মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০১১

আজ রুমীর জন্মদিন...

আজ ২৯ মার্চ, রুমীর জন্মদিন। শফি ইমাম রুমী। নামটা কি চিনতে পারছেন?? আমরা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের নানা কাজে কত কিছুই তো ভুলে যাই। এটা ভুলে গেলেই বা ক্ষতি কী! এই রুমীই শহীদ রুমী। গেরিলা যোদ্ধা রুমী।










শফি ইমাম রুমী (২৯ মার্চ, ১৯৫২ - নিখোঁজ ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন গেরিলা যোদ্ধা। তিনি ছিলেন শহীদ জননী খ্যাত জাহানারা ইমামের জেষ্ঠ্য পুত্র। জাহানারা ইমাম রচিত একাত্তরের দিনগুলি গ্রন্থে রুমীকে অন্যতম প্রধান চরিত্র হিসেবে দেখা যায় এবং তাঁর মৃত্যুর জন্য জাহানারা ইমাম শহীদ জননী উপাধি পান।

শফি ইমাম রুমী ১৯৫২ সালের ২৯ মার্চ ইঞ্জিনিয়ার শরীফ ইমাম ও জাহানারা ইমাম দম্পতির উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আই. এস. সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর ১৯৭১‌ সালের মার্চ মাসে রুমী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন। তিনি ইলিনয় ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে সুযোগ পেলেও যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবার দরুন আর পড়া হয়ে ওঠেনি।

যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে, রুমী ধারাবাহিকভাবে তাঁর মা ও বাবাকে নিজের যুদ্ধে যাবার ব্যাপারে রাজি করানোর চেষ্টা করেন। অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল মাকে রাজি সক্ষম হন। তিনি ২ মে সীমান্ত অতিক্রমের প্রথম প্রয়াস চালান। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে তাঁকে ফেরত আসতে হয় এবং দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় সফল হন। তিনি সেক্টর-২ এর অধীনে মেলাঘরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এই সেক্টরটির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন খালেদ মোশাররফ ও রশিদ হায়দার। প্রশিক্ষণ শেষ করে তিনি ঢাকায় ফেরত আসেন এবং ক্র্যাক প্লাটুনে যোগ দেন। ক্র্যাক প্লাটুন হল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা আক্রমণ পরিচালনাকারী একটি সংগঠন। রুমী ও তার দলের ঢাকায় আসার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন হামলা করা। এ সময় তাঁকে ঝুঁকিপূর্ণ আক্রমণ পরিচালনা করতে হয় যার মধ্যে ধানমণ্ডি রোডের একটি আক্রমণ ছিল উল্লেখযোগ্য।

ধানমণ্ডি রোডের অপারেশনের পর রুমী তার সহকর্মীদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ১৯৭১ সালের ২৯ আগস্ট তিনি তাঁর নিজের বাড়িতে কাটান, এবং এই রাতেই বেশকিছু গেরিলা যোদ্ধার সাথে পাক বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী তাদের টিকটিকিদের মাধ্যমে তথ্য পেয়ে বেশ কিছু সংখ্যক যোদ্ধাকে গ্রেফতার করে যার মধ্যে ছিলেন বদি, চুন্নু, আজাদ ও জুয়েল। রুমীর সাথে তাঁর বাবা শরীফ ও ভাই জামীকেও ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। সুরকার আলতাফ মাহমুদও গ্রেফতার হন। জিজ্ঞাসাবাদের স্থানে রুমীকে ভাই ও বাবাসহ একঘরে আনলে রুমী সবাইকে তাদেরকে তাঁর সাথে যুদ্ধে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করতে বলেন। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন যে, পাক বাহিনী তাঁর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সচেতন এবং এর সব দায়দায়িত্ব তিনি নিজেই নিতে চান। ৩০ সেপ্টেম্বরের পর রুমী ও তার সহযোদ্ধা বদী ও চুন্নুকে আর দেখা যায়নি।

ইয়াহিয়া খান ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দিলে অনেক আত্মীয় তাঁর জন্য আবেদন করতে বলেন। কিন্তু রুমী যে বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ধরা পড়েছে, তাঁদের কাছে ক্ষমা চাইতে রুমীর বাবা শরীফ রাজি ছিলেন না। ফলে রুমীর আর ঘরে ফেরা হয়নি।

তথ্যসূত্রঃ উইকিপেডিয়া
চিত্রউৎসঃ শাফি ইমাম রুমীর ফেইসবুক ফ্যান পেইজ

আরো জানতে চাইলে পড়ুনঃ
১। ৭১ এর দিনগুলি - শহীদ জননী জাহানারা ইমাম
২। মা - আনিসুল হক

সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০১১

সবই মিথ্যা... বানোয়াট...









এই যে দেখছেন ছবিগুলো;এর সবই মিথ্যা,সবই বানোয়াট।
ঐ মানুষগুলো শুয়ে থেকে শুধু মৃতের অভিনয় করে যাচ্ছে;
আর তাদের দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন অঙ্গগুলোও করছে অভিনয়;
নয়তো কোন এক চিত্রকৌশলী কত শ্রম দিয়ে করেছে তৈরি।
৩০ লাখ সংখ্যাটাই বানোয়াট; কেউই তো মরেনি সেদিন।
লাখো মা-বোন স্বেচ্ছায় গিয়েছিল পাকসেনাদের ব্যারাকে;
কারণ তারা ব্যকুল হয়েছিল ঐ পাকসেনাদের আদর পেতে।
এত সুদর্শণ, এত শক্তিশালী পুরুষ কি তারা দেখেছে আগে?
আমাদের বাপ-ভাইয়েরা সে যন্ত্রণায় করেছিল আত্মহত্যা,
আর আমরা? আজ সে দোষ চাপাই নিষ্পাপ পাকিদের কাঁধে!
ইতিহাসের ঐ কথাগুলো বানানো,কাল্পনিক অথবা অতিরঞ্জন!
তাই আজ কত শত বাঙালিদের বুকে ওঠে বিচ্ছেদের হাহাকার,
আর কণ্ঠে জাগে ভালোবাসার চিৎকারঃ'পাকিস্তান জিন্দাবাদ'।
মুখে, পেটে, গায়ে পাকি পতাকা এঁকে ছুটে যায় ক্রিকেট মাঠে,
নেচে গেয়ে করে উৎসব আর বলে ওঠে, 'পাকিস্তান জিতেগা'।
কত মহান সে ভালোবাসা! আর কত অপরূপ তার বাহ্যরূপ!
আজ বড় মনে হয়ঃ কত ভুল করেছিল বোকা মুজিব হায়!
দিয়েছে তাদের স্বাধীনতা যারা সুখ খুঁজে ফেরে পরাধীনতায়!


জ্বলজ্বলে সত্য নিচের ছবিগুলোঃ










বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১১

চে বেঁচে আছে প্রতিটি বিপ্লবীর চেতনায়...বিপ্লব থেকে যাবে, শুধু বদলাবে তার কৌশল...


চে - শুধুমাত্র এক মহান বিপ্লবীর নাম না।এক বিপ্লবী আত্মা।দেহ মরে গেছে।কিন্তু আত্মা থেকে গেছে প্রতিটি বিপ্লবীর চেতনায়।

চে এর সেই মার্ক্সীয় সমাজতন্ত্র আজ হয়তো আর আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য না।সময়ের সাথে সাথে দাবিও বদলে গেছে।

স্বাধীনতার প্রায় চল্লিশটা বছর চলে গেছে।কী পেয়েছি আমরা??যদি আমরা হতাশাবাদীদের দলে না ভিড়ে থাকি তো দেখতে থাকবোঃ সে মুজিব সরকার থেকে শুরু করে আজকের সরকার, সব সরকারই দেশের জন্য কিছু না কিছু ভালো কাজ করতে চেয়েছে এবং কিছু ভালো কাজ করেছেও।কিন্তু তার সাথে করা খারাপ কাজগুলো বরাবরই তাদের ভালো কাজকে ছাপিয়ে গেছে।তা তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ কিংবা দলীয় স্বার্থ কিংবা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বহির্শক্তির স্বার্থই রক্ষা বেশি করেছে অথবা করতে বাধ্য হয়েছে।

এই দেশের জন্মযাত্রা থেকেই নানা বিপ্লব-প্রতি বিপ্লব চলে আসছে।কিন্তু সেখানে সাধারণ মানুষের কথা কে ভেবেছে??সবাই জনগণকে সিড়ি বানিয়ে ক্ষমতার আসনে আরোহণ করতে চেয়েছে।এরাই আজও আমাদের শোষণ করছে।শুধু চরিত্রগুলো সময়ের সাথে বদলেছে।জলপাইদের দল,নৌকা, ধানের শীষ। এখন এসেছে জিহাদী জঙ্গী,তাদের সাথে আছে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি।কিন্তু কেউ কি জানতে চেয়েছে সাধারণ কি চায়??

আমরা, আমাদের বাবা-ভাইয়েরা কি এই উদ্দেশ্যেই রক্ত দিয়েছিল ৭১ এ??নাকি মা-বোনেরা অত্যাচারিত হয়েছিল এই ভবিষ্যত চেয়ে??

স্বাধীনতা মিলে গেলেও, পাওয়া যায় নি এর স্বাদ।আজও জুটেনি মুক্তি।এই মুক্তির জন্য চাই বিপ্লব।বিপ্লবের কোন বিকল্প নেই।বিপ্লব মানেই রক্তপাত না।বিপ্লব মানেই অস্ত্রহাতে ঝাঁপিয়ে পড়া না।সময়ের সাথে বিপ্লবের উদ্দেশ্য বদলায় নি।তবে বদলাতে হবে এর কৌশল।বিপ্লব অনেক ভাবেই আসতে পারে।কৃষি বিপ্লব,শিল্প বিপ্লব, প্রযুক্তির বিপ্লব, রাজনৈতিক বিপ্লব, ভোটের বিপ্লব।সবকিছুর সুষ্ঠু সমন্বয়েই সম্ভব সত্যিকারের মুক্তি।

কিন্তু কোথায় সে কাণ্ডারি??কাণ্ডারি আসছে বলে।অপেক্ষায় না থেকে খুঁজে বেড় করুন।

জয় বিপ্লবের জয়।

বুধবার, ২ মার্চ, ২০১১

প্রাণের পতাকা...

সারা বাংলাদেশ পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন জোয়ারে ভাসছে। সবাই স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নে বিভোর। এত সব ঢেউয়ের মাঝে বড় বড় ঢেউগুলো ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর তা বাকিসব ঢেউ নিয়ে আছড়ে পরছিল ধানমণ্ডি ৩২ এ নেতার বাড়িতে। ২রা মার্চ, ১৯৭১ ডাকসু র ভিপি আ স ম আব্দুর রব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের প্রাণের পতাকা উত্তোলন করেন। সেই নিশান একে একে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়লো। এই পতাকা হয়ে গেল আমাদের প্রাণের পতাকা। এই পতাকা নিয়েই আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। পাকিদের নাস্তানবুদ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছি।

এই পতাকার নকশা করেছেন শিব নারায়ণ দাশ। পতাকার সবুজ আমাদের দেশের সবুজ-শ্যামলের প্রতিনিধিত্ব করে। মাঝে লাল বৃত্ত যা প্রকাশ করে মুক্তিকামী মানুষের বুকের তাজা রক্ত। এই রক্ত তিতুমীরের, এই রক্ত সূর্যসেনের, এই রক্ত প্রীতিলতার, এই রক্ত ক্ষুদিরামের, এই রক্ত ভাষা শহীদদের, এই রক্ত নাম জানা-অজানা লাখো শহীদের যারা ধাপে ধাপে এই বাংলার মুক্তির সংগ্রামে রক্ত দিয়েছেন। আর রক্তাক লালের মাঝে বাংলার উদীয়মান সোনালি মানচিত্র। পরে এই পতাকাকে অর্জণ করতে রক্ত দিয়েছে ত্রিশ লাখ শহীদ।

২রা মার্চ আমাদের পতাকার জন্য একটা বিশেষ দিন হলেও এর জন্ম আরো আগেই। ১৯৭০ সালের ৭ জুন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এই লক্ষ্যে ছাত্রদের নিয়ে জয়বাংলা বাহিনী গঠন করা হয়। ছাত্র নেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় ।

এই লক্ষ্যে ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের (তৎকালীন ইকবাল হল) ১১৬ নং কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা আ স ম আবদুর রব, শাহজাহান সিরাজ, কাজী আরেফ আহমদ, মার্শাল মনিরুল ইসলাম পতাকার পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসেন। এ বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা স্বপন কুমার চৌধুরী, জগন্নাথ কলেজের ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা শিব নারায়ণ দাশ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সাধারণ সম্পাদক হাসানুল হক ইনু ও ছাত্রনেতা ইউসুফ সালাউদ্দিন।

সভায় কাজী আরেফের প্রাথমিক প্রস্তাবনার উপর ভিত্তি করে সবার আলোচনার শেষে সবুজ জমিনের উপর লাল সূর্যের মাঝে সোনালি হলুদ রঙের বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৭০ সালের ৬ জুন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের ৪০১ নং (উত্তর) কক্ষে রাত এগারটার পর পুরো পতাকার ডিজাইন সম্পন্ন করেন শিব নারায়ণ দাশ।

সেই রাতেই নিউমার্কেট এলাকার বলাকা বিল্ডিংয়ের ৩ তলার ছাত্রলীগ অফিসের পাশে নিউ পাক ফ্যাশন টেইলার্সের টেইলার্স মাস্টার খালেক মোহাম্মদী পতাকার নকশা বুঝে কাজ শুরু করেন। তারা ভোরের মধ্যেই কয়েকটি পতাকা তৈরি করে দেন।

আমাদের আদি পতাকা



আমাদের এই প্রাণের পতাকা উত্তোলনের জন্য কিছু বিখ্যাত দিন হলঃ

জুন ৭, ১৯৭০
৭ জুন ১৯৭০ এ অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজের নেতৃত্ব প্রদান করেন আ স ম আবদুর রব। অল্প পেছনে পতাকা হাতে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন হাসানুল হক ইনু। রব সেই পতাকা বঙ্গবন্ধুর হাতে তুলে দেন এবং শেখ মুজিবুর রহমান সেই পতাকা ছাত্র-জনতার সামনে তুলে ধরেন। এরপর ইনু পতাকাটি তার কক্ষে নিয়ে যান এবং সহপাঠি শরীফ নুরুল আম্বিয়া শেরে বাংলা হলের ৪০৪ কক্ষের খবিরুজ্জামানকে পতাকাটি বাক্সে লুকিয়ে রাখতে বলেন। এরপর একাত্তরের শুরুতে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জাহিদ হোসেন পতাকাটি নিয়ে যান তার মালিবাগের বাসায়।

মার্চ ২, ১৯৭১
১৯৭১ এর ১ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত হবার পর ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক বিশাল সমাবেশ হয়। এ সমাবেশে আ স ম আবদুর রব যখন বক্তৃতা করছিলেন, তখন নগর ছাত্রলীগ নেতা শেখ জাহিদ হোসেন একটি বাঁশের মাথায় পতাকা বেঁধে রোকেয়া হলের দিক থেকে মঞ্চস্থলে মিছিল নিয়ে এগিয়ে আসেন। রব তখন সেই পতাকা তুলে ধরেন।

মার্চ ২৩, ১৯৭১
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সারা বাংলায় পাকিস্তানের পতকার পরিবর্তে শিব নারায়ণ দাশের নকশা করা পতাকা উত্তোলিত হয়।

৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভ করার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার কোন এক রহস্যময় কারণে [যদিও বলা হয়ে থাকে নকশাকা সহজ করার জন্য] পতাকা থেকে মানচিত্র বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং এই কাজটির দ্বায়িত্ব পান পটুয়া কামরুল হাসান। তার হাত ধরেই নব-নকশায় তৈরি হয় আমাদের বর্তমান জাতীয় পতাকা।

আমাদের বর্তমান পতাকা



তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া