শনিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১২

আলফ্রেড সরেনদের কথা

‘এ ফুল দেলা ফুল
রেলগাড়িরে দেজোক ফুলেম তাইনমোক কান
রেলগাড়িরে দেজোক দাই বগেতেঞ বতোরক
রেলগাড়িরে বাঞদেজোক, দুমকা দিসম বাঞঞেল
ইঞদঞ রুয়াড় চালাক অড়াক তেগে।’
বাংলা করলে এর অর্থ দাঁড়ায়,
‘এই ফুলমনি তাড়াতাড়ি চলো
ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে; দেরী হয়ে যাচ্ছে।
আমার খুব ভয় করে, আমি ট্রেনে উঠবো না,
আমি দুমকা জেলাও দেখব না,
আমি বাড়িতে ফিরে যাবো’
এই ফুলমনি একজন সাঁওতাল নারী। সিদু-কানুর বোন ফুলমনির লাশ মিলেছিল রেল-লাইনের ধারে। তার গায়ের কাপড় ছিল ছিন্ন-ভিন্ন। খুব সম্ভবত ব্রিটিশ সৈন্যরা ফুলমনিকে ধর্ষণ করে, খুন করে লাশটা ফেলে রেখে যায় রেল-লাইনের ধারে। সাঁওতালীরা আজও ফুলমনিকে স্মরণ করে, আজও কাঁদে।

পেছনের দিকে তাকালে পাই,


আজ থেকে ১৫৭ বছর পূর্বে ১৮৫৫ খ্রি. ৩০ শে জুন সান্তাল (সাঁওতাল) বিদ্রোহের বীজ মহিরুহে পরিণত হয়েছিলো। ইতোপূর্বে ১৭৭২ খ্রিষ্টাব্দ ক্যাপ্টেন ব্র“কের নেতৃত্বে একদল সিপাহী নিয়ে অরণ্যচারী আদিবাসীদের বশে আনার প্রথম ব্যর্থ উদ্যোগ ছিলো। দ্বিতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেন বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ ইংরেজ প্রশাসক (কালেক্টর) আগষ্টাস ক্লিভল্যাণ্ড ১৭৭৯ খ্রিষ্টাব্দে। এতদিন আদিবাসীরা স্বাধীনভাবে চাষবাস করেছে, অরণ্যের সম্পদ ভোগ করেছে কিন্তু এবার ইংরেজদের খাজনা দিতে হবে। খাজনা প্রদানকে তারা তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ মনে করলো। তারা খাজনা প্রদানে অস্বীকার করলো। ফলে কোম্পানীর কর্মচারী ও সিপাহীরা আদিবাসীদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিতে শুরু করলো। তাদের ধরে বেঁধে ভাগলপুর নিয়ে গিয়ে অমানুষিক ও অমানবিক নির্যাতন শুরু করলো। আদিবাসী অরণ্যচারীরা বিদেশী ইংরেজ শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াল। এদের নেতৃত্ব দিলেন তিলকা মাজহী বা তিলকা মুরমু। শুরু হলো আদিবাসী সাঁওতাল বিদ্রোহ। অস্ত্র তাদের নিজেদের তৈরি বাঁশের তীর-ধনুক, বাটুল, বর্শা ইত্যাদি। তিলকা মাজহীর গেরিলা আক্রমণ নীতিতে ইংরেজ সৈন্যরা বার বার মার খেল। ১৭৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই জানুয়ারি তিলকা মাজহীর বাটুলের গুলিতে ক্লিভল্যাণ্ড সাহেব আহত হয়ে মারা যান। বাটুল হচ্ছে তীর ধনুকের মতো কিন্তু তীর পরিবর্তে পোড়ামাটির শক্ত গুলি, পাথরের টুকরো অথবা মাছ ধরা জালের লোহার কাঠি ব্যবহার করতো। বন্দুক অথবা রাইফেলের গুলির মতো বাটুলের গুলিও প্রচণ্ড শক্তি ও গতির অধিকারী ছিলো। আধুনিক সমরাস্ত্রে সুশিক্ষিত ইংরেজ বাহিনীর সাথে কতোক্ষণ এ যুদ্ধ চলতে পারে। তিলকপুরের মাটি আদিবাসী সাঁওতালদেও রক্তে লাল হয়ে গেল। তিলকা মাজহী ধরা পড়লেন। তাঁকে ভাগলপুরে নিয়ে এসে নিদারুণ শারিরীক অত্যাচার করা হলো। শেষে ঘোড়ার সাথে বেঁধে সিনেমার স্টাইলে তাকে টেনে হিচড়ে সমস্ত শহর ঘোরানো হলো। এতেও তাঁর মৃত্যু হয়নি দেখে তাঁকে বটগাছে ঝুলিয়ে (১৭৮৫ খ্রিষ্টাব্দে) ফাঁসি দেওয়া হয়। এভাবেই ইতিটানা হয় সাঁওতাল বিদ্রোহের প্রথম পর্ব। [১]




ছবি ১  - সিদু-কানুর আদর্শে উজ্জীবিত সাঁওতাল যুবক

স্বাধীনতা প্রিয় সাঁওতালদের দমন-নিপীড়নের শুরুটা সেই ব্রিটিশদের হাতে এবং আজও চলে আসছে। এই স্বাধীন বাংলাদেশেও চলছে পুরোদমে। অথচ ওরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে হাতের তীর-ধনুক তুলে নিয়েছিল, এই দেশের স্বাধীনতায় লড়েছিল বাঙালির পাশে। ঐ নিয়েই ২৭-২৮ মার্চ দল বেঁধে আক্রমণ করেন রংপুর ক্যান্টনমেন্ট এবং পাকসেনার গুলিতে অনেকেই শহীদ হন [২]; আমরা ওদের আজও স্বীকৃতি দেই নি।




ছবি ২  - ২৮ মার্চ, ১৯৭১ এ সাঁওতাল-ওঁড়াওঁ-রংপুরি-বাঙালির সম্মিলিতভাবে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট আক্রমণ।

১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বাংলাদেশে সাঁওতালদের মোট সংখ্যা ২০২৭৪৪, ২০১২ সাল নাগাদ ওদের সংখ্যা হয়ে দাঁড়ানোর কথা কমপক্ষে ২৭১৪৮৫; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওদের সংখ্যা তিন লাখের বেশি হবে। কিন্তু ১৯৪১ সালের ব্রিটিশ ভারতের আদমশুমারি রিপোর্ট দেখলে পাওয়া যায় তখন সাঁওতালদের সংখ্যা ছিল ৮২৯০২৫ জন যার ভেতরে পূর্ব বাংলা তথা বাংলাদেশে সাঁওতাল ছিলো ২৮২৬৮২ জন। অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে সাঁওতাল এর সংখ্যা যেভাবে বাড়ার কথা সেভাবে বাড়ে নি, উল্টো কমেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকলেও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ভূমি থেকে উচ্ছেদ, নানা অত্যাচার, শোষণ-নিপীড়ন, হত্যা-ধর্ষণ ইত্যাদি কারণে এরা দলে দলে দেশ ত্যাগে বাধ্য হয় [৩]; এদের অনেকেই চলে গেছে পাশের দেশ ভারতে যেখাতে সাঁওতালদের বর্তমান সংখ্যা ৬ লাখের মতন, আর নেপালে ৫০ হাজারেরও বেশি।

অস্ট্রিক গোষ্ঠির সাথে সাঁওতালদের চেহারায় ব্যাপক মিল আছে। এদের দৈহিক বৈশিষ্ট্য হলঃ খজর্বাকৃতি, মাথার খুলি লম্বা থেকে মাঝারি, নাক চওড়া ও চ্যাপ্টা, গায়ের রঙ কালো এবং ঢেউ খেলানো [৪]; ভাষাগত পরিচয়ে এরা অস্ট্রো-এশিয়াটিক। নৃতাত্ত্বিকদের ধারণা এরা ভারতবর্ষের আদিম অধিবাসীদের অন্যত্ম। এক সময় এরা বাস করতো উত্তর ভারত থেকে শুরু করে প্রশান্ত মহাসাগরের ইস্টার দ্বীপ পর্যন্ত। আনুমানিক ৩০ হাজার বছর পূর্বে এরা ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিল [৫], আর সাঁওতালরা যে আর্যদের আগে থেকেই ভারতে আছে সে ব্যাপারে কোনই দ্বিমত নেই। এদের আদি নিবাস হয়েছিল হাজারিবাগ, মালভূম (চায়-চাম্পা), এবং বিহারের আশ-পাশের বিভিন্ন অঞ্চল। মোঘল আমলে এরা হাজারীবাগ, মালভূম হতে বিতাড়িত হয়ে ওড়িষ্যার সাঁওতাল পরগণায় চলে আসে।

সাঁওতালরা আজও নিজেদেরকে বলে ‘হোড়’ কিংবা ‘হেড়’ যার অর্থ মানুষ আর ওদের কারমণকারী মানুষদেরকে বলে ‘দিকু’ যার অর্থ আক্রমণকারী কিংবা ডাকাত। ওরা প্রকৃত অর্থেই নিপীড়িত এক গোষ্ঠী। অশিক্ষিত সাঁওতালদের সরলতার সুযোগ নিয়েছে শিক্ষিত ধনীক গোষ্ঠী। জমিদার, মহাজন, প্রশাসক ও স্থানীয় প্রভাবশালী হিন্দু-মুসলমান ওদেরকে করেছে শোষণ আর ইংরেজরা করেছে অত্যাচার। [৬]

সুনীতি কুমারের এক গ্রন্থে পাই,


... ... ... বিহার প্রদেশ বিশেষ করিয়া সাঁওতাল পরগণা উড়িষ্যা, বাংলাদেশ বিশেষ করিয়া পশ্চিম ও উত্তর বঙ্গ, এবং আসাম এই সমস্ত স্থানে সাঁওতালদের বাস। ইহাদের আদি ভূমি হইতেছে বিহারে; উত্তর বঙ্গ ও আসামে মজুরীগিরি করিবার জন্য দলে দলে গিয়া ইহারা বাস করিতেছে। ... ... ... [৭]

বাংলাদেশে সাঁওতালদের আগমন ঘটেছে নানা কারণে। এর মধ্যে জমিদার-মহাজনেরা যেমন তাদের কাজের প্রয়োজনে সাঁওতালদের উত্তরবঙ্গে এনেছেন, তেমনি এরা নিজেরাই জীবিকার সন্ধানে, খাদ্য ও বাসস্থল সংকটে, এমনি কি ১৮৫৫ সালে সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণে ইংরেজ কর্তৃক বিতাড়িত হয়ে এ অঞ্চলে বাসস্থান গড়েছে।

Qureshi এর বইতে পাওয়া যায়,


… … … Santals came originally to clear land, build rail roads, and do other labor, and many of them work today as landless, laboures, but some have assets… [৮]

স্বাধীন বাংলাদেশেও ওরা যে কতটা নিপীড়িত তার একটা ছটত উদাহরণ আলফ্রেড সরেন। ১১ বছর আগের এই দিনটাতে ভূমিদস্যু হাতেম আলী ও সীতেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য ওরফে গদাই এর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় আলফ্রেড সরেন নৃশংস ভাবে খুন হন। আদিবাসী নেতা আলফ্রেড সরেন হত্যার ঘটনায় তার ছোট বোন রেবেকো সরেন বাদী হয়ে হত্যা ও জননিরাপত্তা আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু আজও খুনীরা মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ওদের হুমকির মুখে অনেক সাঁওতালই ধীরে ধীরে আদিবাসী পল্লী ত্যাগ করছে।





ছবি ৩  - ১৮ আগস্ট, ২০০১ সালে বাঙালি ভূমিদস্যুদের আক্রমণে নিহত আদিবাসি নেতা আলফ্রেড সরেন।



২০০০ সালের ১৮ আগস্ট, ঘড়ির কাটায় সকাল এগারটা, ভূমি দস্যু হাতেম ও গদাই লস্কর তার দেড়শতাধিক ভাড়াটিয়া খুনি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নওগাঁ জেলার, মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর গ্রামের ১৩টি আদিবাসী পরিবারের উপর যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ও তাণ্ডবলীলা চালায় তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানায়। অতর্কিত এই আক্রমণে আদিবাসীরা হত বিহ্বল হয়ে পড়ে। খুনিরা চিৎকার করে খুজতে থাকে আলফ্রেড সরেনকে। একেরপর এক বাড়ী আগুনে জ্বালিয়ে দিতে দিতে অগ্রসর হয় খুনিরা। সামনে যাকে পায় তার উপর চলে পৈশাচিক নির্যাতন। শিশুদের হাত পা ধরে পুকুরে ছুড়ে মারা হয়। আদিবাসী পরিষদের নেতা বৃদ্ধ জগন্নাথ সরেণ ও যতীন সরেণ নামে ৩০ বছরের এক যুবককে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়। আলফ্রেড সরেণের বড় ভাইয়ের স্ত্রী পানসিরির পেটে লাথি দেবার ফলে তার গর্ভচ্যুতি ঘটে।

চারিদেকে যখন আদিবাসীদের আত্ম-চিৎকার আর আগুনের লেলিহান শিখায় আকাশ বাসাত ভারি হয়ে উঠেছে, তখন খুনিদের উন্মত্ত খুনের নেশা আলফ্রেড সরেণকে খুজেছে। তখন বোন রেবেকা সরেণ ভাইকে নিয়ে বাঁচার জন্য পাশের বাড়ীতে ঘরের মধ্যে ধানের বস্তার ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় খুনিরা। আগুনের উত্তাপে টিকতে না পেরে  রেবেকা সরেণ ঘরের জানালা ভেঙ্গে ভাইকে সঙ্গে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ঘর থেকে বের হওয়া মাত্রই খুনিদের হাতে ধরা পড়ে আলফ্রেড সরেন। খুনিরা রামদা, চাইনিজ, কুড়াল, বল্লম দিয়ে একেরপর এক আঘাত করতে থাকে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আলফ্রেড সরেণ । আহত অবস্থায় খুনিদের কাছে আকুতি জানায় আমার হাত পা কেটে ফেলো কিন্তু প্রাণে মেরো না আমি কি দোষ করেছি তোমাদের কাছে ? বেঁচে থাকার আকুতি খুনিদের কানে পৌছায় না। আলফ্রেডের আকুতি খুনিদের আরও উন্মত্ত করে তোলে বর্শার ফালার আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত আলফ্রেড সরেণ মৃত্যর কোলে ঢলে পড়ে। বোন রেবেকা সরেন মাত্র ৫০গজ দুরে মূর্তিরমত দাড়িয়ে দেখে ভাইয়ের মৃত্যু। আগুনের লেলিহান শিখায় জ্বলে ছাই হয়ে যায় ভীমপুরের আদিবাসী পল্লীর ১৩টি পরিবার। ৩০/৩৫ জান আদিবাসী মারাত্বকভাবে আহত হয়। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তিন ঘন্টা ব্যাপি চলে এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। দীর্ঘ সময় ব্যাপী এই নারকীয় তাণ্ডব চললেও রহস্যজনকভাবে পুলিশ নিরব ও নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

ভীমপুর গ্রাম ও মৌজার ১৬৬ ও ১৬৮ দাগের এক একর জমির উপর তখন যে ১৩টি আদিবাসী সাঁওতাল পরিবার বসবাস করত। এর অল্প দুরে ৯০/৯৫ বিঘা খাস জমি ছিল। সেই জমি দরিদ্র আদিবাসী ও এলাকার ভূমিহীনদের কাছে বন্দোবস্তো দেবার জন্য আলফ্রেড সরেণ এলাকার ভূমিহীন ও আদিবাসীদের সংগঠিত করে তাদের মাঝে বিতরণ করতে চেয়েছিল। কম্যুনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নওগাঁ জেলার এই নেতাকে ভূমি দস্যু হাতেম গদাই গং ও তার সন্ত্রসী বাহিনীর নির্মমভাবে খুন করে। যে দিন আলফ্রেডকে হত্যা করা হয় সেই দিন স্থানীয় নৈ-হাটা মোড়ে ভূমিহীনদের সমাবেশ হবার কথা ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে সমাবেশের মঞ্চ তৈরীর কাজ দেখাশুনা করে ১০টা ৩০ মিনিটের দিয়ে বাড়ীতে খেতে আসার পরপরই এই ঘটনা ঘটে। [৯]

দেখতে দেখতে ১১ টা বছর চলে গেল। আলফ্রেড সরেন হত্যার বিচার হয়নি, এর বিচার আদৌ হবে সে আশা করাটাও খুব কঠিন। আজ মৃত কিংবা শহিদ আলফ্রেড সরেন সাঁওতালদের জন্য এক বীরের নাম। আলফ্রেডের নাম উচ্চারিত হয় সিদু-কানুর নামের সাথে। 

আলফ্রেড সরেনের আত্মত্যাগ কি নাড়া দেবে বাঙালিদের?? বাঙালি কি এগিয়ে আসবে আদিবাসি ও অন্যন্যগোষ্ঠী দমন-নিপীড়নের দায় থেকে নিজেদেরকে মুক্ত করতে??

তথ্য-উৎসাবলিঃ
[১] ৩০ শে জুন ইতিহাসের স্মরণীয় সান্তাল (সাঁওতাল) বিদ্রোহ - মিথুশিলাক মুরমু, আদিবাসী বাংলা ব্লগ।
[২] মুক্তিযুদ্ধে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট।
[৩] বাংলাদেশের আদিবাসী ভাষা – সৌরভ সিকদার।
[৪] বাঙালি নৃতাত্ত্বিক পরিচয় – ড, অতুল সুর।
[৫] ভারতের নৃতাত্ত্বিক পরিচয় – ড, অতুল সুর।
[৬] সাঁওতাল সমাজ সমীক্ষা – ধনপতি বাগ।
[৭] ভারতের ভাষা ও ভাষা-সমস্যা – সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়।
[৮] Journal: Tribal Cultures in Bangladesh – Shah Qureshi, Institute Of Bangladesh Studies, Rajshahi University.
[৯] আলফ্রেড সরেন মৃত্যু যাকে অমরত্ব দিয়েছে - রানা, উন্মোচন ব্লগ।

চিত্র-উৎসাবলিঃ
[১] গুগল সার্চ।
[২] বাংলাদেশ বার্তা ডট কম।
[৩] দৈনিক কালের কণ্ঠ।

২টি মন্তব্য:

  1. "আনুমানিক ৩০ হাজার বছর পূর্বে এরা ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিল "

    কয় কি!!

    আফসোস, এইসব ক্ষয়িষ্ণু আদি নৃগোষ্ঠির নিরাপত্তা এদেশের সরকার করে না।

    উত্তরমুছুন