বাবা দিবস টা অনেকটাই এরকম। লোক দেখানো ভালোবাসায় ভরপুর!!
পশ্চিমা দেশগুলোতে আবগের দাম কম। তারা একটা বয়সের সাথে সাথে ছেলে মেয়েদের ছেড়ে দেন, নিজের রাস্তা নিজেকেই দেখে নিতে বলেন। তারা আমাদের দেশের বাবা-মায়ের মতন সন্তানদের আঁকড়ে ধরে রাখেন না। ছেলেরা-মেয়েরা নিজেদের রাস্তা দেখে নেন। কাজ খোঁজেন, সঙ্গী খোঁজেন, জীবনের সফলতা খোঁজেন। বৃদ্ধ বাবা-মায়ের জায়গা হয় বৃদ্ধাশ্রমে, তাদের দেখার ফুরসাৎ মেলে না। তাই এই সুযোগ করে দেবার জন্য বছরে একটা দিন ঠিক করা হয়েছে, যেদিন সন্তানেরা কার্ড, ফুল, কেক নিয়ে বাবার সাথে দেখা করবেন।
এই দিবসের প্রচারণা চালায় পশ্চিমা ব্যবসায়-প্রতিষ্ঠান গুলো। কেন করে?? কারণ এই দিন উপলক্ষে কার্ড বিক্রি হবে, ফুল বিক্রি হবে, কেক বিক্রি হবে, বাবাদের দিতে নানা রকম উপহার সামগ্রী কেনা-বেচা হবে।
কিন্তু আমাদের দেশে এই প্রচারণা কেন?? আমরা তো এত ব্যস্ত না যে বাবা-মায়েদের বৃদ্ধাশ্রমে রেখে জীবনের সফলতা খুঁজবো! ছোট বেলায় বাবার হাতে যত মারই খাই না কেন বাব্র আদরই সব ভুলিয়ে দিয়েছে। মার খাবার সময় ভুল করেও বাবার খারাপ চাইলেও একবারের জন্য হলেও পারতপক্ষে বাবাকে ছেড়ে থাকার কথা ভাবি না। বাবার সময়ে বাবা আমাদের দেখেছেন, আমাদের সময়ে আমরা বাবাকে দেখবো। আমাদের ৩৬৫-৩৬৬ দিনই আমাদের বাবার জন্য, মায়ের জন্য। প্রতিটা দিনই তাই বাবা দিবস, মা-দিবস। সব দিনই ভালোবাসবো। এক দিনের জন্য কার্ড দিয়ে, কেক কেটে দেখানো ভালোবাসার কি কোন প্রয়োজন আছে??
প্রতিদিনই দেশকে ভালোবাসবো, দেশের জন্য শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করবো, তাদের স্যালুট জানাবো, এর সাথে সাথে স্বাধীনতা দিবস, ভাষা দিবসটাও উদযাপন করবো। সবদিনই করবো তবে একটা বিশেষ দিন থাকতে পারে। বাবা বেঁচে থাকতে পরিবারের সবাই মিলে তা উদযাপন আর উনি পরলোকগত হয়ে থাকলে তো মৃত্যু দিবসে ধর্মীয় আচারের ব্যাপার আছেই।
কিছু মানুষ কার্ড ব্যবসায়ীদের ব্যবসা টিকানোর স্রোতে ভেসে ব্যপারটাকে লোক-দেখানো পর্যায়ে নিয়ে গেছে, মূলত তাদের জন্যই এই পোস্ট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন