বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০১১

একজন কবির গাজী লাশ হয়ে গেল...

আমি বরাবরই একটু বোকা। তাই আমার করার ক্ষমতা খুবই সীমিত জেনেও সেই অক্ষমতা থেকে কষ্ট পাই। আমার অক্ষমতা আমি বাংলাদেশের জন্য কিছু করতে পারছি না, আমার অক্ষমতা আমি দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারছি না, আমি একজন কবির গাজীকে বাঁচাতে পারিনা, আমি একজন লিমনের পা ফিরিয়ে দিতে পারি না, একজন ইয়াসমীন-পূর্ণিমা-সীমা-চৌধুরীকে বাঁচাতে পারি না কিংবা পারিনা রুমানাদের রক্ষা করতে। আমার সর্বোচ্চ ক্ষমতা নিজেই কষ্ট পাওয়া।

কাল রাতে জাগো ভাইয়ের পোস্টে আদিল ভাইয়ের লিঙ্কের লেখায় গিয়ে লেখাটা বার বার পড়ছিলাম। অনেক কষ্ট লাগছিলো। তারপরও পরছিলাম। আমাদের দেশেই এসব হচ্ছে, আর আমরা নীরব সাক্ষী। তবে এই কষ্ট পাওয়া আমার কর্তব্যের মাঝে পরে। রাতে আর ঘুমাতে পারি নি। চোখ বুঝলেই ঐ কবির গাজীর কথা মনে হয়েছে। ঐ নৃশংসতার কথা মনে হয়েছে। ঘুম না আসায় আবোল-তাবোল লিখে গিয়েছি। অবশেষে ৭ টার দিকে আমি ঘুমাতে গিয়েছি।

আমার আবোল-তাবোল কথাগুলো তুলে ধরলাম -

আমার ঘুম চলে যায়
চোখ বুজলে পরে।
চোখের কোণে ভাসে -
'কবির গাজী মরে'
শয়তানেরা ধরলো তারে
বাঁধলো শক্ত করে,
অত্যাচারে রইলো ঝুলে
ঐ বট গাছের 'পরে।
দমখানি তার বেড় হয়ে গেল
জোটেনি ফোঁটা পানি,
লুটিয়ে পরে নীথর দেহ
সাথে নিয়ে মিছে গ্লানি।
এভাবেই মরে কবির গাজীরা
রুলুলদের হাতে পরে,
দোষ না করেও দোষী হতে হয়
নানান অত্যাচারে।
আর কতশত কবির গাজীরা
মরবে বিনা দোষে??
ঘুম ভেঙে ফিরবো মোরা
নতুন করে হুঁশে??
সব শোষিত দাঁড়িয়ে ওঠো
নিজের পায়ের 'পরে,
অস্ত্র তোল, যুদ্ধ হবে
সাম্যবাদের তরে।
শুধু স্বাধীনতা না, মুক্তিও চাই
সারাটা বাংলা জুড়ে,
রক্তচোষা বাদুরগুলোকে
ছোড় আস্তাকুড়ে।

সবাই আসুন। দেশটাকে নতুন করে গড়ে তোলার কাজে হাত বাড়াই। অসহায় কবির গাজী-সীমা চৌধুরী-ইয়াসমীন-পূর্ণিমা-রুমানা-লিমনদেরকে বাঁচাই। ঐসব রক্তচোষা বাদুড়দের সমাজ থেকে বিদেয় দেই।

**কারো কাছে যদি সবটাই ঝাপসা মনে তবে দেখে নিনঃ
শতাধিক লোকের সামনে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন